ইমাম হাসান (আ:) একটি রেওয়ায়েতে কিয়ামতের ক্ষেত্রে পবিত্র কুরআনের ভূমিকার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
নিম্নলিখিত রেওয়ায়েতটি “ইরশাদুল-কুলুব” বই থেকে উদ্ধৃত করা হয়েছে।
ইমাম হাসান (আ:) বলেছেন:
«إنَّ هذا القُرآنَ يَجِئُ يَوْمَ القِيمَةِ قائِدا وسائِقا يَقُـودُ قَوْما إلَى الجـَنـَّةِ أَحَلُّوا حَلالَهُ وَحَرَّمُوا حَرامَهُ وآمَنُوا بِمُتَشابِهِهِ ويَسُـوقُ قَوْما إلَى النـّارِ ضَيَّعُوا حُدُودَهُ وأَحْكامَهُ وَاسْتَحَلُّوا حَرامَهُ.»
কিয়ামতের দিন পবিত্র কোরআন একজন নেতা ও ইমামের আকারে আবির্ভূত হবে এবং মানুষকে দুটি দলে বিভক্ত করবে:
১. যারা পবিত্র কোরানকে অনুসরণ করেছে, এর হারাম ও হালালকে অনুসরণ করেছে এবং এর উপমাগুলোকে আন্তরিকভাবে মেনে নিয়েছে, পবিত্র কোরআন তাদেরকে চিরস্থায়ী জান্নাতের পথ দেখাবে।
২. যারা পবিত্র কুরআনের সীমাবদ্ধতা ও আইন বর্জন করেছে, এর নিষেধাজ্ঞাগুলোকে হালাল মনে করেছে এবং এর সীমালঙ্ঘন করেছে। পবিত্র কুরআন তাদেরকে আতাশে (জাহান্নামে) পাঠাবে।
(ইরশাদুল-কুলুব, দাইলামী, পৃ. ১০৩)