বি ইসমেহি তায়ালা
তাবাররুক
تبرک
تالیف وترجمه: مجیدالاسلام شاه
সংকলন ও অনুবাদ:
মজিদুল ইসলাম শাহ
সূচিপত্র
মদিনা এবং রসূল (স🙂এর কবরের মাটি থেকে ‘বরকত’ অর্জন করা: 3
১– হযরত ফাতেমা যাহরা (স:) কর্তৃক বরকত লাভ করা: 3
২– আব্দুল্লাহ ইবনে ওমারের কর্তৃক বরকত লাভ করা: 3
৩– আবু আইয়ুব আনসারীর হযরত মুহম্মাদ (স:)এর কবর থেকে বরকত লাভ করা: 4
৫– হযরত হামযা (আ🙂এর কবরের মাটি থেকে বরকত লাভ করা: 5
তাবাররুক এবং আহলে সুন্নত ফকীহদের মতামত: 6
হযরত মুহম্মাদ (স:)এর ছেড়ে যাওয়া জিনিস থেকে বরকত লাভ করা: 7
হযরত মুহম্মাদ (স:)এর স্পর্শ করা মুদ্রা থেকে বরকত লাভ করা: 8
যে সমস্ত কবর আর জানাযা থেকে বরকত লাভ করা হয়েছে: 11
মুসলমানেরা মর্যাদাবান জিনিস থেকেও বরকত লাভ করতেন: 13
তাবাররুক
তাবাররুক শব্দটিকে ‘বরকত’ এর মূল শব্দ থেকে নেওয়া হয়েছে। এই শব্দের অভিধানিক অর্থ হল ‘বর্ধিত’ এবং শব্দিক অর্থ হল; এক খোদার অনুসারী এবং মুসলমানদের নবীগণ পুন্যবান বা তাদের জীবিত থাকা স্মৃতিচিহ্ন থেকে ‘খাইর’ (কল্যাণ) ও ‘বরকত’ লাভ করা’
এটা স্পষ্ট যে, এই কর্ম করা হারাম, এর উপর কোনো প্রমাণ নেই এবং শরীয়তী দিক থেকে এই কর্ম করার বিষয়ে সন্দেহও পাওয়া যায়, যেমন ভাবে কুরআন বলে:
(ذَلِكَ وَمَن يُعَظِّمْ شَعَائِرَ اللَّهِ فَإِنَّهَا مِن تَقْوَى الْقُلُوبِ) এটাই (আল্লাহর বিধান) এবং যে কেউ আল্লাহর নিদর্শনাবলীকে সম্মান করবে, নিশ্চয়ই এটা (সম্মান প্রদর্শন) হুদয়সনূহের সাবধানতা থেকে উদ্ভুত (ও আত্মাসংযমের নিদর্শন)। [1]
এমন কি কুরআনে এই ধরনের নমুনা বহু আছে সেই নমুনা থেকে একটি এই আয়াত যা আমরা তেলাওয়াত করে থাকি:
(قَالَ الَّذِينَ غَلَبُوا عَلَى أَمْرِهِمْ لَنَتَّخِذَنَّ عَلَيْهِم مَّسْجِداً) [2]
ওহাবীদের মতবাদ:
ইসলামী ইতিহাসের দিক দেখলে বোঝা যায় যে, মুসলিমগণ এই নীতি অনুযায়ী আমল করতেন, কিন্তু অতীত কাল থেকে বর্তমান যুগ পর্যন্ত ইবনে তাইমিয়া এবং তার অনুসারীরা কবর থেকে তাবাররুক নেওয়া, তার উপর হাত মুখমন্ডল স্পর্শ করা এবং চুম্বন দেওয়াকে হারাম করেছেন এবং মুসলমানদের উপর কাফির ও শিরক হওয়ার দোষারোপ করে তাদেরকে ‘কাবারিউন’ অর্থাৎ কবরের পূজারী বলেছেন। তাদের মতে মুসলমানদের এই ধরনের কর্ম করা ইসলামের পূর্ব যুগের মানুষের ন্যায়, যেমন তারা মুর্তিদের ক্ষেত্রে করতো।
এই মতের উত্তর:
আমরা এই মতের তিন ধরনের উত্তর দিয়ে থাকি:
১- তাবাররুক হল প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর নিদর্শন ও চিহ্ন সমূহের প্রতি এক প্রকার সম্মান দেখানো এবং শরীয়তী দিক থেকে এটা করা উত্তম। আর নবীগণ ও ওলিগণের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের আবশ্যক দায়িত্ব তাদের মৃত্যুর সাথে শেষ হয়ে যায় না বরং চিরকাল বিদ্যমান থাকে।
এ সম্পর্কে ইমাম মালিক, মানসুর থেকে বর্ণনা করেছেন: (নবীগণের শ্রদ্ধা তার মৃত্যুর পর অনুরূপ থাকে যেমন তার জীবিত অবস্থায় ছিল) [3]
২- যদি শায়েরে এলাহির সম্মান আর কবরের শ্রদ্ধা করা যা ইবাদত গণ্য হয়, তাকে চুম্বন করা শিরক হয় যেমন: কাবা ঘরের শ্রদ্ধা, ফেরেশ্তাদের হযরত আদম (আ:)এর সামনে সেজদা করা, হযরত ইউসুফের বাবা মা এবং তার ভাইদের হযরত ইউসুফের সেজদা করা এবং মা বাবার শ্রদ্ধা করা এই সমস্ত জিনিস শিরক হবে, কিন্তু আমরা দেখতে পাই এই সমস্ত জিনিস শিরক নয়, এটা এবাদতের মধ্যে গণ্য হয়।
৩- ওহাবীদের উক্ত মত সাহাবাগণ, ওলীগণ, ও আহলে সুন্নত ফকীহদের তরিকার বিপরীত, তার কারণ বিভিন্ন রেওয়ায়েতের পরিপ্রেক্ষীতে সাহাবাগণ, ওলিগণ, এবং মুসলমান বিভিন্ন স্থান উক্ত সিরতের উপর আমল করে বরকত লাভ করেছেন, যার কিছু নমুনা আপনাদের সামনে বর্ণনা করছি।
মদিনা এবং রসূল (স🙂এর কবরের মাটি থেকে ‘বরকত’ অর্জন করা:
হযরত মুহম্মাদ (স:)এর চাচা হযরত হামযা (সাইয়েদুশ শোহদা) এমনকি সমস্ত মদিনার মাটি থেকে মুসলমানেরা বরকত লাভ করতেন, উক্ত বিষয় সম্পর্কে রেওয়ায়েতও বর্ণনা হয়েছে যে, মদিনার মাটি কুষ্ঠরোগ, মাথা ব্যেথা এছাড়া সমস্ত ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়।
উক্ত রেওয়ায়েতের কারণে ইসলামী ফকীহগণ উক্ত মাটি থেকে বরকত লাভ করার জায়েয হওয়ার সম্পর্কে ফতোয়া দিয়েছেন, উদাহরণ স্বরূপ কিছু নমুনা তুলে ধরছি:
১- হযরত ফাতেমা যাহরা (স:) কর্তৃক বরকত লাভ করা:
হযরত আলী (আ:) বলেন: যখন হযরত মুহম্মাদ (স:)কে দাফনের পর হযরত ফাতেমা যাহরা (স:) নিজের পিতার সমাধির এক কোণে দাঁড়ালেন, কবর থেকে কিছু মাটি তুলে নিজের চেহারায় মেখে কাঁদতে কাঁদতে এই দুটো কবিতা পড়লেন:
مذا علي من شم احمد ان لا يشم مدي الزمان غواليا
صبت علي مصائب لو انها صبت علي الايام صرن لياليا
কি হবে সেই লোকের যে, আহমদের কবরের মাটি শুঙ্গেঁ, যতদিন বেচে থাকি যেন কোনো দামী আতর প্রয়োজন না হয়, আমার উপর এমন কষ্ট এসেছে যদি দিবালোকের উপর পড়তো তাহলে সেই দিবালোক রাত্রিতে পরিনত হত। [4]
২- আব্দুল্লাহ ইবনে ওমারের কর্তৃক বরকত লাভ করা:
ইবনে হামলা বলেন: আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর সব সময় নিজের ডান হাতকে বরকত লাভ করার জন্যে হযরত মুহম্মাদ (স:)এর কবরে রাখতেন একই ভাবে হযরত বেলাল হাবশী তাবারুকের কারণে নিজের গালকে হযরত মুহম্মাদ (স:)এর কবরে রাখতেন। [5]
৩- আবু আইয়ুব আনসারীর হযরত মুহম্মাদ (স:)এর কবর থেকে বরকত লাভ করা:
দাউদ ইবনে সালেহ বলেন: একদিন মারওয়ান দেখলো যে এক ব্যক্তি রসূল (স:)এর কবরের সাথে নিজের চেহারা স্পর্শ করে আছে মারওয়ান তার কাছে গেল এবং তার গাল ধরে বলল: জানিস কি করছিস? (মারওয়ান জানতো না যে, ইনি কে?) মারওয়াম যখন দেখলো যে তিনি আবু আইয়ুব আনসারী ছিলেন। আবু আইয়ুব আনসারী বললেন: হে! মারওয়ান আমি জানি আমি কি করছি? আমি কোন পাথরের কাছে আসিনি আমি হযরত মুহম্মাদ (স:)এর কাছে এসেছি, আমি হযরত মুহম্মাদ (স:)কে বলতে শুনেছি:
لا تبكوا علي الدين اذا وليه اهله, ولكن ابكوا عليه اذا وليه غير اهله
যতক্ষন দ্বীন ইসলামের পরিচালনা সঠিক পরিচালক করছে ততক্ষন তার উপর কেঁদোনা, কিন্তু যখন অপরিচালক তার স্থান বসবে তখন তার উপর কাঁদবে। [6]
৪– সাহাবাগণের বরকত লাভ করা:
সামহুদী বলেন: সাহাবাগণেরা এবং অন্যান্য লোকেরা হযরত মুহম্মাদ (স:)এর কবরের মাটিকে তাবাররুক মনে করে নিয়ে যেতেন, তারা ওই দেওয়াল থেকে মাটি তুলতেন যে দেওয়ালের ছিদ্র কবরের দিকে ছিল। তার পরে হযরত আয়েশা (রা:) সেটিকে খারাপ করে তার ছিদ্র বন্ধ করে দিলেন।
হযরত আয়েশার (রা:) এই কর্মের ব্যাখ্যাতে বলা হয়েছে: সাহাবাগণ এবং অন্য ব্যক্তিদের এই ধরনের কর্ম করা কবরের খারাপ দেখার কারণ হয়ে দাড়িয়ে ছিল।[7]
৫– হযরত হামযা (আ:)এর কবরের মাটি থেকে বরকত লাভ করা:
ইবনে ফারহুন বলেন: আজও মানুষ হযরত হামযার (আ:) কবরের মাটিকে তাবাররুক হিসেবে নিয়ে যায় আর তা দিয়ে তসবী তৈরি করে, এই কারণে লোকেদের এই কর্ম মদিনার মাটিকে এক স্থান থেকে অন্য স্থান নিয়ে যাওয়ার জায়েয হওয়ার উপর প্রমাণ সরূপ। [8]
মদিনার মাটি থেকে চিকিৎসা:
লিপিবদ্ধ রেওয়ায়েতের পরিপ্রেক্ষিতে মুসলিমগণ মদিনার মাটিকে তাবাররুক হিসেবে ব্যবহার করতেন।
সামহুদি বলেন: ইবনে নাজ্জার এর পুস্তক আর ইবনে জযির পুস্তক “আল ওফা” থেকে এই রেওয়ায়েত আমাদের কাছে এসেছে (غبار المدینه شفاء من الجزام) মদিনার মাটি কুষ্ঠরোগ রুগীদের জন্য শিফা। [9]
মানাবী, নিজের ফাইযুল কাদীর নামক পুস্তকে লিখেছেন: আবু সালমা বলেন: আমার থেকে হযরত মুহম্মাদ (স:)এর এই হাদীস বর্ণনা করা হয়েছে যে আপনি বলেন:
(غبار المدینه شفاء من الجزام) ‘মদিনার মাটি কুষ্ঠরোগ রুগীদের জন্য শিফা’।
মানাবী উক্ত হাদীস বর্ণনা করার পর লিখেছেন: এক ব্যক্তি কুষ্ঠরোগ রোগে ভুগছিল আমি দেখলাম এই রোগের কারণে তার শরির খুবই খারাপ হয়ে গিয়েছিল তখন সে মদিনার মাটিকে শিফা হিসেবে ব্যবহার করলো, হঠাৎ একদিন বাড়ির বাইরে এল এবং ‘কমাতুল বেয়যা’ (কুবার রাস্তায় ওয়াদিয়ে বাতহার ভিতরে) নামক বালির ঢিবির উপরে গিয়ে নিজের শরীরকে তার উপরে মলতে লাগলো যার ফলে সে শিফা পেল। [10]
তাবাররুক এবং আহলে সুন্নত ফকীহদের মতামত:
পূর্বের পৃষ্টায় আমরা বর্ণনা করেছি যে আহলে সুন্নত ফকীহগণ তারারুকের জায়েয হওয়ার ফতোয়া দিয়েছেন।
আব্দুল্লাহ ইবনে হাম্বাল বলেন: আমি আমার পিতাকে জিজ্ঞাসা করলাম: এক ব্যক্তি রসূল (স:)এর মেম্বারকে তাবাররুক হিসেবে স্পর্শ করছিল আর তাকে চুম্বন করছিল আর ঠিক এইভাবে রসূল (স:)এর কবরেও করছিল, এটাকি করা জায়েয? উত্তরে বললেন: এতে কোনো সমস্যা নেই। [11]
উক্ত রেওয়ায়েত ‘আল জামে ফিল এলালে ওয়া মারেফাতুর রেজাল’ পুস্তকে একটু আলাদা ভাবে বর্ণনা হয়েছে যে এই ব্যক্তি ওই আমলকে আল্লাহ তায়ালার নৈকট্যলাভের জন্য মাধ্যম বানায়।
আহমাদ ইবনে হাম্বাল উত্তরে বলেন: এতে কোনো সমস্যা নেই।
ইবনুল আলা বলেন: আমি আহমাদ ইবনে হাম্বালের মতামত ইবনে তাইমিয়াকে দেখালাম সেটি তিনি দেখে হতভম্ব বা অবাক হলেন আর বললেন: আমি আহমাদ ইবনে হাম্বালের কথায় অবাক হয়ে যাচ্ছি, কেন না এটিকি তাদেরই কথা। [12]
রামলি শাফেয়ী ও তাবাররুক সম্পর্কে ঠিক এই ভাবে ফতোয়া দিয়েছেন: যদি কোনো ব্যক্তি, কোনো নবী, ওলি বা আলেম ব্যক্তির কবরে তাবারুকের নিয়ত করে হাত রাখে বা চুম্বন করে তাহলে এতে কোনো সমস্যা নেই। [13]
মহিউদ্দিন তাবারী শাফেয়ী বলেন: কবরে চুম্বন করা এবং তাকে স্পর্শ করা জায়েয আর আলেমগণ ও নেক ব্যক্তিগণেরও এই ধরনের কাজে অভ্যস্ত ছিল।[14]
হযরত মুহম্মাদ (স:)এর ছেড়ে যাওয়া জিনিস থেকে বরকত লাভ করা:
তাবারুকের অন্য নমুনার মধ্যে থেকে একটি হল হযরত মুহম্মাদ (স:)এর পূর্বে ছেড়ে যাওয়া জিনিস থেকে বরকত লাভ করা, রসূল (স:)এর মেম্বার মুসলমানদের নিকট এক ধরনের বিশেষ স্থান আছে শুধু তাই নয় কিছু ফকীহগণ তার মর্যাদার কারণে মেম্বারের কাছে শপথ গ্রহণ থেকে মানা করেছেন এবং সব সময় তা থেকে বরকত লাভ করতেন।
‘আসারুন নাবুওত’ নামক পুস্তকে বর্ণনা হয়েছে যে, হযরত মুহম্মাদ (স:)এর মেম্বার নিজের স্থান ছিল হঠাৎ আগুন লেগে যায় ফলে মদিনা বাসীরা খুবই কষ্ট পায়, আর মেম্বারে যেখানে হত বা পা রাখতেন এই আগুনের কারণে সে গুলো পুড়ে গিয়েছিল। [15]
সামহুদী বলেন: হযরত মুহম্মাদ (স:)এর মেম্বারের উপরে কভারের মত একটি কাপড় দিয়ে ঢেঁকে মেহরাবের কাছে রাখা হয়েছিল, মানুষজন সেই মেহরাবে হাত বাড়িয়ে তাবাররুক মনে করে মেম্বারকে স্পর্শ করতেন। [16]
সেই রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে ফকীহগণ তাবাররুক আর মেম্বারকে স্পর্শ করাকে জায়েয জেনে ফতোয়া দিয়েছেন।
ইমাম মালিকের শিক্ষক ইয়াহ ইয়া ইবনে সাঈদ আনসারী, মালিক, ইবনে ওমর, আর মুসাইয়াব থেকে লিখেছেন যে, তারা হযরত মুহম্মাদ (স:)এর মেম্বারের দস্তাকে স্পর্শ করাকে জায়েয করেছেন আর ঠিক এই ভাবে তার জায়েয হওয়া আহলে বাইয়েত থেকেও বর্ণনা হয়েছে।
ইমাম সাদিক(আ:) বলেন:
واذا فرغت من الدعاء عند قبرالنبی (ص) فآت المنبرفامسحه بیدک وخذ برماّنتیه، وهما السفلان، وامسح عینیک ووجهک به، فانّه یقال: انّه شفاء للعین.
অর্থ: যখন হযরত মুহম্মাদ (স:)এর কবরের কাছে দোয়া করা হয়ে যাবে তার পর মেম্বারের কাছে গিয়ে তাকে স্পর্শ করবে এবং তার দস্তা দুটো ধরে নিজের মুখমন্ডল আর চক্ষু স্পর্শ করবে, এই আমল চোখের শিফার কারণ হয়ে থাকে।[17]
ইমাম গাযালীও এই বিষয়ে নিজের মতামত দিয়ে লিখেছেন: যে মানুষ হযরত মুহম্মাদ (স:)এর জীবিত অবস্থায় তাঁকে দেখে বরকত লাভ করে, সে ব্যক্তি হযরত মুহম্মাদ (স:)এর ওফাতের পর তার যিয়ারতের মাধ্যমে বরকত লাভ করতে পারে। আর এই থেকে প্রমাণিত হয় যে হযরত মুহম্মাদ (স:) এর যিয়ারতের জন্য সফর করা জায়েয। [18]
হযরত মুহম্মাদ (স:)এর স্পর্শ করা মুদ্রা থেকে বরকত লাভ করা:
পূর্বের বর্ণনা করা রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে সাহাবাগণ সেই মুদ্রা থেকে বরকত লাভ করতেন যে গুলোকে হযরত মুহম্মাদ (স:) স্পর্শ করেছিলেন। হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ বলেন: এক সফরে আমি হযরত মুহম্মাদ (স:)এর সাথে ছিলাম সেখানে আমার উট অসুস্থ হয়ে পড়ে যার ফলে কাফেলা থেকে পিছনে রয়ে গিয়েছিলাম, হযরত মুহম্মাদ (স:) আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন: হে জাবির! কি হয়েছে? আমি বললাম: আমার উট অসুস্থ হয়ে পড়েছে, হযরত মুহম্মাদ (স:) উটের উপর নিজের হাত ফেরালেন যার ফলে আমার উট এতো শক্তিশালী হয়ে উঠলো যে, সবার আগে আগে চলতে লাগলো। তারপর হযরত মুহম্মাদ (স:) সেই উটকে কিনতে চাইলেন তখন আমি বললাম: হুজুর এ উট আজ থেকে আপনার, কিন্তু হযরত মুহম্মাদ (স:) গ্রহণ করলেন না। তারপর জাবির বললেন: আমি সেই উটে চড়ে মদিনা গেলাম হযরত মুহম্মাদ (স:) বেলালকে বললেন: ওই উটের যা দাম হয় তার থেকে বেশি দিয়ে দাও।
জাবির বললেন: আমি চিন্তা করলাম এই বাড়তি টাকা কখনোই নিজের থেকে দূরে রাখবো না আমি সেটিকে নিজের থলের মধ্যে রেখেদিলাম এমনকি ‘হেরা’ ঘটনার সময় ‘শামের’ সিপাহীরা আমার কাছ থেকে সেই থলে কেড়ে নেয়। [19]
অন্য এক রেওয়ায়েতে আনাস ইবনে মালিক বলেন: একদিন নাপিত হযরত মুহম্মাদ (স:) চুল কাটছিল আর সাহাবাগণ তার আশে পাশে ছিলেন আর সবাই হযরত মুহম্মাদ (স:)এর এক একটি করে চুল ধরে রেখেছিলেন। [20]
দ্বিতীয় রেওয়ায়েতে বর্ণনা হয়েছে: আহমাদ ইবনে হাম্বাল নিজের কাছে সব সময় একটি চুল রাখতেন আর বলতেন এটি হযরত মুহম্মাদ (স:)এর মাথার চুল। [21]
বর্ণনা হয়েছে যে মোওয়াবিয়া নিজের মৃত্যুর সময় ওসিয়ত করেছিল যে, আমাকে হযরত মুহম্মাদ (স:)এর পোষাকের সাথে যেন দাফন করা হয় এবং সাথে তার চুলও যেন রাখা হয়। [22]
যদিও এই ওসিয়ত লোক দেখানো ছিল বা তার কোন অস্তিত্ব ছিল না, কারণ এই হাদীসের রাভী আব্দুল আলা ইবনে মাইমুন অজ্ঞাত ব্যক্তি এবং রেজাল শাস্ত্রের বিখ্যাত পুস্তকে তার কোনো চিহ্ন (পাওয়া যায়নি) নেই। তাছাড়া তাবাররুক এমন একটি বিষয় যা মুসলমানদের মধ্যে প্রচলন ছিল।
কথিত আছে যে, ইতিহাসে একথা উল্লেখ করা হয়েছে যে, সাহাবীগণ হযরত মুহম্মাদ (স:)এর ওযুর পানির ফোটা থেকে শিফা অর্জন করার কারণে নিজেদের মধ্যে কাড়াকড়ি ও ঝগড়া করতেন। [23]
হযরত আয়েশা (র:)বলেন: লোকেরা তাবারুকের জন্য নিজেদের শিশু সন্তানকে হযরত মুহম্মাদ (স:)এর কাছে নিয়ে আসতেন। [24]
ইবনে মানকাদর তাবেয়ী প্রায় মসজিদে নাবাভীর উঠানে শুয়ে পড়ে গড়াগড়ি খেতেন যখন তার কাছে এর কারণ জিজ্ঞাসা করা হল। তখন বললেন: আমি এখানে হযরত মুহম্মাদ (স:)কে দেখেছি।
যেহেতু তিনি তাবেয়ী, সে হযরত মুহম্মাদ (স:)কে দেখেন নি, আর তিনি যে বললেন আমি দেখেছি তার মানে হল তিনি স্বপ্নে দেখেছেন। [25]
রেওয়ায়েতে পাওয়া যায় যে, কাবশা নামে একজন নারী বলেন: একদিন হযরত মুহম্মাদ (স:) আমার কাছে এলেন আর ঝুলানা মাশক থেকে পানি পান করলেন, আমি সেই মাশকের মুখ কেটে নিজের কাছে রেখেছিলাম।
ইবনে মাজা উক্ত রেওয়ায়েত সম্পর্কে লিখেছেন: উপযুক্ত এটাই যে হযরত মুহম্মাদ (স:) যেখানে নিজের মুখ লাগাবেন সেখান থেকে বরকত লাভ করা হোক।
তিরমিযী এই রেওয়ায়েতটিকে সহীহ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন: উক্ত রেওয়ায়েত আহমাদ ইবনে হাম্বাল, আনাস থেকে এবং ও উম্মে সুলায়েম থেকে বর্ণনা করেছেন। [26]
যে সমস্ত কবর আর জানাযা থেকে বরকত লাভ করা হয়েছে:
রেওয়ায়েতে বর্ণনা হয়েছে: এক ব্যক্তি সাআদ (রসূল (স:)এর সাহাবী)’র কবরের মাটি নিল আর গবেষণা করার পর দেখলো তা থেকে মুশকও আম্বারের সুগন্ধ আসছে। [27]
আব্দুল্লাহ ইবনে গালিব হাদ্দানী ‘তারবিয়া’র দিন (জিলহজ্ব মাসের আট তারিখ) তাকে হত্যা করা হয়, তার কবরের মাটি থেকে মুসকও আম্বারের সুগন্ধ আসতো যার কারণে লোকেরা নিজেদের কাপড়ে লাগাতেন। [28]
ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বাল ২৪১ হিজরীতে ওফাত পান, তার কবর হচ্ছে একটা বিখ্যাত যিয়ারতের স্থান যেখান থেকে লোকেরা বরকত লাভ করে। [29]
সাবকী ইমাম বোখারীর ওফাত আর তার দাফন সম্পর্কে এই ভাবে লিখেছেন: যখন বোখারীকে দাফন করা হয়ে গেল তখন লোকেরা তার কবরের মাটি নিয়ে যেতে লাগলো এমনকি মাটি নেওয়ার কারণে তার কবর স্পষ্ট হতে লাগলো আর কবরকে রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে গেল। যার ফলে কবরের উপর বেড়া লাগানো হল, যে চার কোনা ছিল আর তাতে ছিদ্র ছিল যার ফলে কারো! হাত সেখানে পৌঁছাতো না। [30]
অন্য দিকে ইবনে তাইমিয়ার অনুসারীগণ তার জানাযা আর তার গোসলের পানি থেকে বরকত লাভ করতেন।
এখানে প্রশ্ন করা হচ্ছে যে, ইবনে তাইমিয়ার অনুসারীগণ কি মুশরিক বা আহলে বিদআত ছিল? এই ফতোয়া কি তাদের অনুসারীগণের জন্য নয়?
তাবার্রুক আর স্পর্শ করার জায়েয হওয়ার এক ধরনের বুদ্ধিমানের কাজ আর মুসলমানদের মধ্যে প্রসিদ্ধ ছিল না? এবং তার হারাম হওয়ার ফতোয়া দেওয়া এক ধরনের অযৌক্তিক এবং শরয়ীহীন কর্ম নয়?
ইবনে তাইমিয়ার জানাযার নামাযে বহু জনগণ উপস্থিত হয়েছিল আর বরকত লাভ করার জন্য নিজেদের রুমাল, পাগড়ী ফেলেদিত আর এমনকি তার খাটিয়ার কাঠ ভেঁঙ্গে তাবাররুক মনে করে নিয়ে যেত, আর বেঁচে যাওয়া সিদর কে কিনে নিয়ে বন্ঠন করা হতো।
বর্ণিত হয়েছে যে: ওই দড়ি যা পারদে (mercurial) ডুবে থাকতো আর ইবনে তাইমিয়া মাথার উকুনকে দূর করার জন্য সব সময় নিজের কাছে রাখতো। সেই দড়ি একশ পন্ঞাশ দিনারে ক্রয় করা হয়ে ছিল। [31]
ইবনে তাইমিয়া আর ওহাবী চিন্তাধারা হিসেবে এই সকল কর্ম শিরক হওয়ার উজ্জ্বল নমুনা। এই কারণে তার জানাযায় উপস্থিত সমস্ত মানুষ মুশরিক ছিল।
তাবারুকের অন্য নমুনার মধ্যে থেকে এক ইয়াহইয়া ইবনে মুজাহিদ (মৃত্যু ৩৬৬ হিজরী) থেকে বরকত লাভ করা।
ইবনে বাশকওয়াল বলেন: ইয়াহইয়া ইবনে মোজাহিদ নিজের যুগের পরহেজগার ব্যক্তি (زاهد) ছিল আর নিজের শহরের মধ্যে এক অন্যতম ইবাদত কারী ব্যক্তি ছিলেন জনগণ তার নিকট থেকে বরকত লাভ করত এবং তার দোওয়ার সাহায্য নিত। [32]
মুসলমানেরা মর্যাদাবান জিনিস থেকেও বরকত লাভ করতেন:
সাবকী বলেন: ৬৪২ হিজরীতে আমার বাবা ‘দারুল হাদীস আশরাফিয়া’তে বসবাস করতেন এবং প্রতিদিন বারান্দায় উঠনে গিয়ে ইবাদত করতেন আর নিজের চেহারাকে তাতে স্পর্শ করতেন। এই বিছানা আশরাফের যুগ থেকে (যে ব্যক্তি ওয়াকাফ করেছিলেন) ওখানে ছিল আর নওয়াবী পড়ানোর সময় তাতে বসতেন। [33]
ইমাম গাযালী হযরত মুহম্মাদ (স:)এর যিয়ারতের আদব ও কায়দায় লিখেছেন: যায়েদের ‘ইরিস’ নামী কুঁয়ার কাছে যাওয়ার দরকার কারণ হযরত মুহম্মাদ (স:) তাতে থুথু ফেলেছিলেন। এই কুঁয়ো মসজিদের কাছে ছিল হযরত মুহম্মাদ (স:) সেই পানী পান করলেন এবং ওযু করেন। এছাড়া মদিনা শরীফে ত্রিশটি মসজিদের স্থান যিয়ারত হিসেবে বিখ্যাত ছিল। শহরের মানুষ তা থেকে অবগত ছিলেন ওখানে যাওয়া দরকার, এবং শিফা ও বরকত লাভ করার জন্যে সেই কুঁয়োর কাছে যাওয়া যেখান থেকে হযরত মুহম্মাদ (স:) পানি পান করেছিলেন এবং ওযু করেছিলেন। ২
ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বালের ছেলের কাছে নিজের পিতার চিহ্ন একটি জামা ছিল, সে বলেন: আমি তার উপর নামায পড়ি এবং তা থেকে বরকত লাভ করি।[34]
বিভিন্ন শতাব্দী ও যুগ থেকে তাবাররুক সম্পর্কে মুসলমানদের যে চরিত্র বর্ণিত হয়েছে তার ভিত্তিতে এটাকি ওহাবীদের ইসলাম থেকে এবং তৌহীদ থেকে সরে যাওয়ার দলিল নয়?
মুহম্মাদ ইবনে ইসমাইল বোখারী ২৫৬ হিজরীতে ওফাত পান, ‘সামারকানদে’র লোকেরা তাকে দাফল করে আর তার কবরের মাটি থেকে বরকত লাভ করে, তাহলে তারা কী কাফের ছিল? আপনারা কি কারণে মুসলমানদের উপর হামলা করেন এবং তাদের সম্পর্কে অপপ্রচার করেন?
তাহলে বলুন তোমাদের কথায় তাকওয়া ও সততা কোথায়? ইসলাম এবং নবীজির সুন্নতে তোমাদের এই চিন্তা আর ফতোয়া কোথায় আছে?
আমরা তাবাররুক সম্পর্কে এই সমস্ত দলিলের উপর যথেষ্ট মনে করি এই রকম দলিল যাতে কবর থেকে বরকত লাভ করাকে মুসলমানদের মধ্যে হযরত মুহম্মাদ (স:) থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত একটি প্রচলন কর্ম বলে বর্ণনা হয়েছে এবং কোন ফকীহ তার হারাম হওয়া তো দূরের কথা বরং তার জায়েয, এবং মুসতাহাব হওয়াকে পরিষ্কার ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
আমি আলোচনাকে যাহাবীর একটি বর্ণনা দিয়ে সমাপ্ত করবো। আব্দুল্লাহ ইবনে আহমদ বলেন: আমি নিজের পিতা আহমদ ইবনে হাম্বালকে দেখেছি সে হযরত মুহম্মাদ (স:)এর চুলকে নিজের হাতে রেখে ছিলেন, তাকে কাপড়ে স্পর্শ করে চুম্বন করতেন, আমার ধারণা সেই চুলকে নিজের চোখেও লাগাতেন। ঠিক এই ভাবে পানিতে ঢেলে সেই পানিকে শিফা বলে পান করতেন।
যাহাবী বলেন: কোথায় সেই ব্যক্তি যে আহমাদের এই আমলকে অস্বীকার করবে? কারণ এই আমলই তার প্রমাণ।
আব্দুল্লাহ নিজের পিতা থেকে ওই ব্যক্তির সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন যে, হযরত মুহম্মাদ (স:)এর মেম্বারের দস্তাকে স্পর্শ করছিল তখন সে উত্তরে বললেন: এই ধরনের আমলে কোন সমস্যা দেখা দেয়না।
আমি খাওয়ারিজ এবং বিদআতিদের বিনোদন চিন্তা থেকে আল্লাহর দরবারে আশ্রয় নিচ্ছি। [35]
তথ্যসূত্র:
১- কুরআন মাজিদ
২- মুসনদে আহমাদ ইবনে হাম্বাল
৩- জামেউল উসুল
৪- সেয়রে আলামুন নাবলা
৫- তাহযিবুল কামাল
৬- তারিখে বখারী
৭- তারিখে তাবারী
৮- মুসনাদে আহমাদ
৯- সহীহ মুসলিম
১০- আলজামেউস সহীহ তিরমিযী
১১- সনানে ইবনে মাজা
১২- আল তাবকাতুল কুবরা
১৩- হিলয়াতুল আউলিয়া
১৪- তাবকাতুল হানাবেলা
১৫- আল বেদায়া ওয়ান নেহায়া
১৬- আহইয়াউল উলুম
[1] (সুরা হজ্ব ৩২)
[2] (সুরা কাহফ আয়াত ২১)
[3] الدر السنیة فی الردّ علی الوهابیة) যায়নী দহলান পৃ: ১৬; ওফাউল ওফা বেআখবারিল মুস্তাফা খ:৪ পৃ:১৩৭৬; আল মাওয়াহিবুদ দানিয়া খ:৩ পৃ:৪০৯)
[4] (আল ইত্তেহাফ,শাবরাভী, পৃ:৯০; ওফাউল ওফা বেআখবারিল মুস্তাফা খ:৪ পৃ:১৪০৪; ইরশাদুস সারী খ:৩ পৃ:৩৫২, প্রকাশ দারুল ফিকর)
[5] (ওফাউল ওফা বে আখবারিল মুস্তাফা খ:৪ পৃ:১৪০৫; শারহুশ শিফা খ:২ পৃ:১৯৯)
[6] (আল মুস্তাদরাক আলাস সাহীহায়েন খ:৪ পৃ:৫৬, হাদীস ৮৫৭১)
[7] (আল মুস্তাদরাক আলাস সাহীহায়েন খ:৪ পৃ:৫৬, হাদীস ৮৫৭১)
[8] (আল মুস্তাদরাক আলাস সাহীহায়েন খ:৪ পৃ:৫৬, হাদীস ৮৫৭১)
[9] (ফাইযুল কাদির খ:৪ পৃ:৪০০; আততাইসির বেশারহিল জামেউস সাগির খ:২ পৃ:১৫৯)
[10] (ফাইযুল কাদির খ:৪ পৃ:৪০০)
[11] (ফাইযুল কাদির খ:৪ পৃ:৪১৪; সুবলুল হোদা ওয়ার রেশাদ খ:১২ পৃ:৩৯৮; উম্দাতুল কারী খ:৯ পৃ:২৪১)
[12] (ওফাউল ওফা বেআখবারিল মুস্তাফা খ:২ পৃ:৩৯)
[13] (কানজুল মাতালিব, হামযাভী পৃ: ২১৯)
[14] (আসনিউল মাতালিব খ: ১ পৃ: ৩৩১, ওফাউল ওফা বেআখবারিল মুস্তাফা খ:৪ পৃ: ১৪০৭)
[15] (আসারুন নাবুয়ত পৃ:৩১)
[16] (ওফাউল ওফা বেআখবারিল মুস্তাফা খ:২ পৃ:৩৯)
[17] (ওসায়েলুশ শিয়া খ:১ পৃ:২৭০ বাব ৭)
[18] (আহইয়াউল উলুম খ:১ পৃ:২৫৮)
[19] (মুসনদে আহমাদ ইবনে হাম্বাল খ:৩ পৃ:৩১৪; হাদীস ১৪৪১৬; সহীহ বখারী খ:২ পৃ:৮১০; হাদীস ২১৮৫)
[20] (জামেউল উসুল খ:৪ পৃ:১০২)
[21] (সেয়রে আলামুন নাবলা খ:১১ পৃ:২৫৬ বা ২৩০)
[22] (তাহযিবুল কামাল খ:১৮ পৃ:৫৪৬)
[23] (তারিখে বখারী খ:৩ পৃ:৩৫ হাদীস ১৮৭ ; তারিখে তাবারী খ:৩ পৃ:৪৭৫)
[24] (মুসনাদে আহমাদ খ:৬ পৃ:২১২; হাদীস ২৫৮১২; সহীহ মুসলিম খ:১ পৃ:২৩৭ হাদীস ২৮৬)
[25] (ওফাউল ওফা বেআখবারিল মুস্তাফা খ:৪ পৃ:১৪০৬; সায়রে আলামুন নাবালা খ:৫ পৃ:৩৫৯)
[26] (আলজামেউস সহীহ তিরমিযী খ:৪ পৃ:৩০৬; সনানে ইবনে মাজা খ:৩ পৃ:১১৯)
[27] (আল তাবকাতুল কুবরা খ:৩ পৃ:৪৩১, সেয়রে আলামুন নাবলা খ: ১ পৃ: ২৮৯)
[28] (হিলয়াতুল আউলিয়া খ:২ পৃ:২৫৮)
[29] (তাবকাতুল হানাবেলা, আবু আলী খ:১২ পৃ:২৫১)
[30] (তাবকাতুশ শাফেয়াতুল কুবরা খ:২ পৃ:২৩৩, সেয়রে আলামুন নাবলা খ: ১২ পৃ: ৪৬৭)
[31] (আল বেদায়া ওয়ান নেহায়া খ:১২ পৃ:২৪৭)
[32] (সেয়রে আলামুন নাবলা খ:১৬ পৃ:২৪৫)
[33] (তাবকাতুশ শাফেয়াতুল কুবরা খ:৮ পৃ:৩৯৬)
[34] (সেয়রে আলামুন নাবলা খ:১১ পৃ:২৩০)
[35] (সেয়রে আলামুন নাবালা খ:১১ পৃ:২১২)