মুসলমানরা সদাসর্বাদা লাঞ্ছিত, অপমানিত নিপীড়িত হচ্ছে, সাথে সাথে কারাবাসের মত কঠিন যন্ত্রণায় নিষ্পেষিত হচ্ছে ৷ আর এ সবই তাদের কৃতকর্মের ফল!
আজ মুসলমানরা যে অপমানের সম্মুখীন হয়েছে তার নজির নেই। মুসলমানরা সদাসর্বাদা লাঞ্ছিত, অপমানিত নিপীড়িত হচ্ছে, সাথে সাথে কারাবাসের মত কঠিন যন্ত্রণায় নিষ্পেষিত হচ্ছে ৷ আর এ সবই তাদের কৃতকর্মের ফল!
তিন তালাক, নিকাহ, হালালা, মন্দির মসজিদ এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের মতো ইস্যু নিয়ে মুসলমানরা যদি দল ও মতের নামে বিভক্ত না হতো, তাহলে আজ মুসলমানদের এই অবস্থা হতো না!
মুসলমানরা যখন তাদের সভ্যতা এবং তাদের সার্বজনীন শিক্ষা ও ঐতিহ্য থেকে বিচ্যুত হতে শুরু করেছে তখন থেকেই এই কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
এক আল্লাহ, এক কাবা, এক কোরআন, আর এক নবী-বিশ্বাসী জাতি যেহেতু দলে দলে বিভক্ত হয়ে আল্লাহর ঘর, মসজিদ ঈদগাও আলাদা আলাদা তৈরি করেছে, আর এই সবের কারণে লাঞ্ছনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে…।
অতএব, বিক্ষিপ্ত ও বৈচিত্র্যময় জাতিকে পরাধীন করার নীতিটি এই জাতির উপর সবচেয়ে বেশি পরীক্ষা করা শুরু হয়েছে কারণ ছিন্নভিন্ন জাতিকে বশীভূত করা খুব সহজ কিন্তু কোন ঐক্যবদ্ধ জাতিকে বশ করা খুবই কঠিন …।
এটি আমাদের জন্য একটি প্রতিফলনের মুহূর্ত যে আজ মুসলিম বিশ্বে, মসজিদগুলি বিভক্ত, মেহরাবগুলি বিভক্ত, বইগুলি বিভক্ত, সমস্ত হাদীস ও রেওয়ায়েতগুলি বিভক্ত, আইনবিদ বিভক্ত…।
আর যদি এই অবস্থা চলতে থাকে এবং মতভেদ থেকে বেরিয়ে না আসে, তাহলে আগামীতে মুসলমানদের দুর্ভোগ বাড়বে ৷
এবং বাতিলের বেঁড়াজাল থেকে বের হবার আর কোন উপায় থাকবে না…।
এই বিশৃঙ্খল অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে, পেশাগত কুসংস্কার থেকে বেরিয়ে এসে আমাদের উজ্বল ভবিষ্যতের জন্য কুরআন ও আহলে বাইতের নির্দেশিত পথে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময় এসেছে।
মনে রাখতে হবে নবী (সঃ)এর রেখে যাওয়া সম্মানিত সহজ সরল পথ হলোঃ “কোরআন ও আহলে বাইত ৷