লেখক: মজিদুল ইসলাম শাহ
আজ ৩০শে রমজান অর্থাৎ ক্ষমা ও আতিথেয়তার মাস রমজানের শেষ দিন।
রমজানের পরে, আমাদের সামনে একটি পরীক্ষা রয়েছে যে আমরা কি কম খাই, কম ঘুমাই, কম কথা বলি এবং কীভাবে আমরা আমাদের আত্মরক্ষা করব নাকি আবার একইভাবে জীবনযাপন শুরু করব?
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেছেন যে, যতক্ষণ না তুমি তোমার প্রিয় জিনিসকে আল্লাহর পথে কোরবানি করবে ততক্ষণ পর্যন্ত তুমি কল্যাণ লাভ করতে পারবে না। খাদ্য, পানীয়, বিশ্রাম এবং আত্মার অনিয়ন্ত্রিত স্বাধীনতার চেয়ে মানুষের প্রিয় জিনিস কি?
কম খাওয়ার অর্থ এই নয় যে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুলি মিস করবেন। কম খাওয়ার অর্থ হল আমরা আমাদের আত্মরক্ষা করি এবং এ ক্ষেত্রে হারাম ও হালালের মধ্যে পার্থক্য করা এবং হারাম পরিহার করা।
প্রয়োজন অনুযায়ী ধন-সম্পদ থাকার নির্দেশ আছে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ধন-সম্পদের অবারিত লালসা যা থেকে আমাদের পরিত্রাণ পেতে হবে কারণ একজন মানুষ যখন পুরো মাস খানেক না খেয়ে বেঁচে থাকতে পারে, তাহলে সর্বাধিক লালসার মানে?
কম ঘুমের অর্থ এই নয় যে আপনি আপনার জীবন থেকে শারীরিক বিশ্রাম বাদ দিয়েছেন, তবে এর অর্থ এই যে আপনি কীভাবে উপাসনা সংগঠিত করার জন্য আপনার সময়সূচীর সর্বোত্তম ব্যবহার করবেন।
আর আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তারা নিজেদের আরাম-আয়েশ ও অলস জমায়েত এড়িয়ে আল্লাহর সামনে উপস্থিত হওয়া কতটা পছন্দ করে।
রমজান আমাদের এও শিক্ষা দিয়েছে যে ক্ষুধা, তৃষ্ণা এবং বস্তুগত আরাম-আয়েশ আমাদেরকে কোনোভাবেই প্রভাবিত করতে পারে না।
আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর হক ও মানুষের অধিকারের মানসম্মত পরিপূর্ণতা। আল্লাহর হক ও বান্দার হক সুস্পষ্ট এবং তোমাদের ক্ষেত্রে এসব হক আদায়ের মানও স্পষ্ট।
শৈশব থেকে বাল্যকাল এবং যৌবন থেকে মধ্য বয়স এবং তারপর বার্ধক্য পর্যন্ত প্রতিটি মানুষ সঠিক পথ নির্ধারণের প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হয় এবং পবিত্র রমজান মাস আত্মশুদ্ধির সর্বোত্তম মাস। আর রমজানের শিক্ষা অগণিত, কিন্তু তাদের সকলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো বাস্তব জীবনে সেগুলো কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
রমজানের পরে যখন বড় শয়তানদের মুক্ত করা হবে, সেক্ষেত্রে আমাদের নিজেকে কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে, তাই আমাদের পরীক্ষার জন্য আরও কঠোর এবং আরও সতর্ক মনোভাব প্রয়োজন।