সোমবার, 23 ডিসেম্বর , 2024 برابر با Monday, 23 December , 2024

মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (স:)-এর কন্যা হযরত ফাতেমা যাহরা (স:)

পর্ব ৩- বিবাহ

হিজরতের এক বছর পর হযরত মুহাম্মাদ (স:)-এর অনেক সাহাবী হযরত ফাতেমাকে বিবাহ করার জন্য রাসূলুল্লাহ্ (স:)-এর কাছে প্রস্তাব দেন। হযরত আবু বকর ও হযরত ওমরের প্রস্তাবও এর মধ্যে ছিল। কিন্তু রাসূলে আকরাম (স:) কারো প্রস্তাবেই সম্মতি দেন নি। এ ব্যাপারে তিনি মহান আল্লাহর নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করছিলেন বলে সবাইকে আশ্বস্ত করেন।

রাসূলে আকরাম (স:)-এর চাচাতো ভাই হযরত আলী বিন আবু তালিব (আ.)ও হযরত ফাতেমা (সা. আ.)-এর ব্যাপারে আগ্রহী ছিলেন, কিন্তু তিনি মুখে কিছুই বলেন নি। রাসূলুল্লাহ্ (স:) ইমাম আলীর এ মনোভাব বুঝতে পারেন। তিনি ফাতেমা (স:)-কে আলীর সাথে বিয়ে দিতে চান। তিনি উভয়ের কাছে এ কথা উপস্থাপন করলে তাঁরা দু’জনই এ ব্যাপারে মৌন থাকেন। রাসূলে আকরাম (স:) দু’জনের মৌনতাকে সম্মতি হিসেবে ধরে নেন এবং বিবাহের আয়োজন করেন।

হযরত ফাতেমা ছিলেন নবুওয়াতী ধারায় নারীদের জন্য আদর্শ। অন্যদিকে হযরত আলী (আ.) ছিলেন নবুওয়াতী মিশনের পর প্রথম উলিল আমর বা ইমাম। তাঁরা ছিলেন উত্তম দম্পতির এক অনন্য উদাহরণ।

এ দম্পতির বিবাহের আনুষ্ঠানিকতা ছিল খুবই সাধারণ। রাসূলে খোদা (স:) আলী (আ.)-কে ডেকে তাঁর ঢালটি বিক্রি করে বিয়ের জন্য অর্থ যোগাড় করার পরামর্শ দেন। হযরত আলী ঢালটি বিক্রি করে দুশ’ দিরহাম পান যা দিয়ে তিনি হযরত ফাতেমার দেনমোহর পরিশোধ করেন।

রাসূলে আকরাম (স:) সমপরিমাণ দিরহাম মিলিয়ে নব-দম্পতির ঘরের জন্য কিছু জিনিস ক্রয় করার জন্য তাঁর সাহাবীদের কাছে দেন। বিবাহের যাবতীয় কাজ মহানবী (স:) স্বীয় তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন করেন। বিয়ের পর নব-দম্পতির জন্য আলাদা একটি ঘরের ব্যবস্থা করা হয় মসজিদে নববীর এলাকার ভেতরে নবীজীর ঘরের কাছাকাছি।

তাঁদের বিবাহের তারিখ নিয়ে অস্পষ্টতা আছে। তবে ধরে নেয়া হয় যে, তাঁদের বিবাহের সাল ছিল ৬২৩ খ্রিস্টাব্দ, হিজরতের দ্বিতীয় বর্ষ। আবার কিছু উৎস থেকে বর্ণিত হয়, সালটা ছিল ৬২২ খ্রিস্টাব্দ। হযরত ফাতেমা (আ.)-এর ওফাত পর্যন্ত তাঁদের দাম্পত্য জীবন ছিল প্রায় দশ বছর।#

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।